ল্যান্ডিং পেজ কি ? ওয়েবসাইট এবং ল্যান্ডিং পেজের মধ্যে পার্থক্য

what is landing page - Website VS Landing Page

ল্যান্ডিং পেজ কি?

স্বাভাবিক ভাবে ল্যান্ডিং পেজ বলতে ওয়েবসাইটের যে পেজে ভিজিটর ভিজিট করে সে পেজকেই বুঝায়। কিন্তু ডিজিটাল মার্কেটিং এ , ল্যান্ডিং পেজ হল এমন একটি স্বতন্ত্র ওয়েব পেজ যেটি মূলত মার্কেটিং বা বিজ্ঞাপন প্রচারের জন্য তৈরি করা হয়।

 

বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে ট্রাফিককে সরাসরি ল্যান্ডিং পেজে পাঠানো হয় এবং সেখানে ট্রাফিক বা ভিজিটরকে একটি সুনির্দিষ্ট পণ্য বা সেবা অফার করা হয়। ল্যান্ডিং পেজের মাধ্যমে ভিজিটরকে পণ্য ক্রয় করতে বা সেবা গ্রহণ করার বিষয়ে অ্যাকশন নিতে উৎসাহিত করা হয়।

 

মোট কথা, ল্যান্ডিং পেইজ ডিজাইন করা হয় নির্দিষ্ট যেকোন একটা টপিক কে টার্গেট করে। আর ল্যান্ডিং পেজ এর মূল উদ্দেশ্য থাকে ওয়েবসাটের কনভার্সন রেট বাড়ানো অর্থাৎ প্রোডাক্টের এর সেল বৃদ্ধি করা, সম্ভাব্য কাস্টমারের লিড সংগ্রহ করা (যেমনঃ নাম, ইমেইল, ফোন নম্বর ইত্যাদি)।

 

ল্যান্ডিং পেজের স্যাম্পল দেখতে চাইলে আমাদের এই পেজটি ভিজিট করে দেখতে পারেন। দেখতে ক্লিক করুন এই পেজে আমরা শুধু মাত্র একটা টপিক নিয়েই ভিজিটরের মনযোগ আকর্ষণ করার চেষ্টা করেছি এবং তাদের কাছে আমাদের পণ্যটি সেল করার ট্রাই করতেছি। আপনি ও আপনার নির্দিষ্ট পণ্য বা সেবা বিক্রি করার জন্য এ রকম ল্যান্ডিং পেজ তৈরি করে আপনার সেল বৃদ্ধি করতে পারেন।

 

ওয়েবসাইট ভার্সেস ল্যান্ডিং পেজঃ

সাধারণত ওয়েবসাইটের হোম পেজে বিভিন্ন ধরণের তথ্য থাকে এবং বাটন থাকে। যেমনঃ কোম্পানি সম্পর্কে, কোম্পানির সার্ভিস সম্পর্কে, বিভিন্ন পণ্য সম্পর্কে ইত্যাদি। তাই হোম পেজে কোন ভিজিটর আসলে তার মাইন্ড বিভিন্ন দিকে কাজ করে।

 

অপর পক্ষে ল্যান্ডিং পেজ তৈরি করা হয় একটি মাত্র বিষয়কে টার্গেট করে, সেটা হতে পারে কোম্পানির প্রচারের জন্য, লিড কালেক্ট করার জন্য অথবা প্রোডাক্ট বিক্রি করার জন্য। এখানে কয়েক জায়গায় যে বাটন থাকে সেটার লক্ষ্য একটাই। এই বাটনকে CTA (Call To Action) বাটন বলা হয়।

নিচের ছবিটি ভালোভাবে লক্ষ্য করলে ক্লিয়ার বুঝতে পারবেন।

 

Website VS Landing Page

 

প্রতিটি ব্যবসার জন্যই এখন ল্যান্ডিং পেজ খুবই জরুরী। ফেসবুক, গুগল, ইউটিউব যেখানেই আপনি আপনার পণ্যের মার্কেটিং করতে যান না কেন সবাই এখন ল্যান্ডিং পেজকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। কেননা ল্যান্ডিং পেজের মাধ্যমেই কাস্টমারের সমস্যা গুলোকে খুব ভালোভাবে তুলে ধরে যায়। এরপর একটি সঠিক পণ্য বা সেবার মাধ্যমে কাস্টমারের সমস্যা সমাধান করার জন্য পণ্য বা সেবার উপকারিতা, ফিচারস, পূর্বের কাস্টমারের ফীডব্যাক, আরজেন্সি  ইত্যাদি কাস্টমারের সামনে তুলে ধরার মাধ্যমে খুব সহজে তাকে কনভিন্স করে সেল জেনারেট করা যায়।

লেখাটা কেমন লেগেছে নিচের কমেন্ট বক্সে জানাতে ভুলবেন না। 

শেয়ারিং ইজ কেয়ারিং

Facebook
WhatsApp
LinkedIn

More Posts

Send Us A Message

Change