আসসালামু আলাইকুম, আমি আজ এমন একটি পদ্ধতি আপনাদের সাথে শেয়ার করব, যে পদ্ধতিটি ব্যবহার করে আপনি আপনার পণ্য বা সেবা খুব সহজে এবং বেশি পরিমাণে আপনার সম্ভাব্য কাস্টমারের কাছে সেল করতে পারবেন।
বর্তমান সময়ে আমরা অধিকাংশ উদ্যোক্তা ফেসবুকে বিভিন্ন গ্রুপে সেল পোস্ট দিয়ে প্রোডাক্ট সেল করে থাকি। অথবা যারা ফেসবুক মার্কেটিং জানি তারা ফেসবুকে ম্যাসেজ ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে পণ্য সেল করে থাকি।
সেল পোস্ট দিয়ে কমেন্টের রিপ্লাই, পার্সোনাল ইনবক্সে ম্যাসেজের উত্তর দিতে দিতে আমাদের এত বেশি সময় ব্যয় হয় যে অনেক সময় এটা প্যারাদায়ক মনে হয়, বিরক্তিভাব চলে আসে। শুধু তাই নয় এর ফলে আমাদের অন্যান্য স্বাভাবিক কাজগুলি ও অনেক সময় ঠিকঠাকভাবে করতে পারিনা। আর ম্যাসেজ ক্যাম্পেইন এর মাধ্যমে সেল করতে গেলে সারাক্ষণ আমাদেরকে অনলাইনে এক্টিভ থেকে দ্রুত কাস্টমারকে রিপ্লাই করতে হয়, না হলে আমাদের প্রোডাক্টের সেল কমে যায়।
তো, এসব সমস্যা দূর করে, কিভাবে আমরা ঘুমিয়ে থেকে আমাদের পণ্য বা সার্ভিস সেল করতে পারি, সে বিষয়টি একটি এক্সাম্পলের মাধ্যমে বোঝার চেষ্টা করি।
একজন উদ্যোক্তা নিজের প্রোফাইলে, বিভিন্ন গ্রুপে সেল পোস্ট দিয়ে মধু, ঘি ইত্যাদি বিক্রি করেন। এরপর একদিন বসে বসে ভাবলেন এভাবে এত পোস্ট না দিয়ে সহজে কিভাবে প্রোডাক্ট সেল করতে পারি। এজন্য উনি ডিসিশন নিলেন অনলাইনে কাস্টমার পেতে উনি ফেসবুকে অ্যাড রান করবেন। অ্যাড রান করার আগেই উনি ওয়েবসাইটে একটি ল্যান্ডিং পেজ তৈরি করেছেন। উনি যখন কোন অ্যাড রান করবেন তখন উনার টার্গেটেড অডিয়েন্স অ্যাড এ ক্লিক করলেই এই ল্যান্ডিং পেজে চলে আসবে।
এরপর ওয়েবসাইটে এসে পণ্য সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য এই পেজে দেখতে পারবে। পণ্যটি তাদের কি কি সমস্যার সমাধান করবে, তারা কেন উনার কাছ থেকেই ঐ পণ্যটি নিবেন, পূর্বের কাস্টমারদের মতামত, পণ্যের মূল্য, ডিস্কাউন্ট অফার, প্রোডাক্ট অর্ডার করার ফর্ম সবকিছু এক জায়গায় পেয়ে যাবে। এতে করে ক্রেতা ও বিক্রেতার দুজনেরই বারবার ম্যাসেজিং এর মাধ্যমে সব কিছু জানার প্রয়োজন পড়ছে না, এমনকি কোন কাস্টমার দিনে রাতে যে কোন সময় প্রোডাক্ট অর্ডার করতে পারছে। বিক্রেতা যেটি করবেন সেটি হচ্ছে ওয়েবসাইটে ঢুকে অর্ডার গুলো কল করে কনফার্ম করবেন এবং কুরিয়ারে বুকিং দিবেন।
এই একই পদ্ধতিতে আপনি অনলাইন কোর্স, ডিজিটাল সার্ভিস, ঘি, মধু, গাড়ির যন্ত্রপাতি, বাচ্ছাদের খেলনা, থ্রি পিছ, শাড়ি, বই ইত্যাদি যেটা খুশি সেটা বিক্রি করতে পারেন।
এতে করে, আপনার ও কাস্টমারের দুজনেরই সময় বাঁচবে। সবচেয়ে বড় কথা আপনার সেল পূর্বের তুলনায় অনেক গুন বেড়ে যাবে।
এটা তো জাস্ট একটি জিনিস বললাম, এই ল্যান্ডিং পেজ আপনাকে আরো বিভিন্ন ভাবে সাহায্য করবে। যে একবার আপনার ল্যান্ডিং পেজে আসবে সে যদি প্রোডাক্ট না কিনে চলে যায়, ফেসবুক পিক্সেলের মাধ্যমে আপনি আবারো তাদেরকে রিটার্গেট করতে পারবেন।
তো, অলরেডি মার্কেটে ল্যান্ডিং পেজের খেলা শুরু হয়ে গেছে এবং সামনের দিনগুলোতে পুরোদমে শুরু হতে যাচ্ছে, এখনই সময় এই ল্যান্ডিং পেজ বানানোটা শিখে ফেলা। আপনি শিখলেন না, তার মানে আপনি পিছিয়ে পড়লেন।
তো ল্যান্ডিং পেজ কিভাবে বানাবেন, নিজে বানানো পসিবল কিনা ইত্যাদি বিষয়ে জানতে এখানে ক্লিক করুন